এই পোস্ট গুলো ভালো লাগার কারনে সংগ্রহ করা, এর সাথে অর্থের কোন সুত্র নেই

শাহরুখ খান সম্পর্কে জানুন

ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী তাজ মোহম্মদ খান এবং ম্যাজিষ্ট্রেট ও সমাজসেবী মা লতিফ ফাতিমার ঘরে ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর দিল্লীতে জন্মগ্রহন করেন শাহরুখ খান। তার পিতা ছিলেন ভারতের পাঠান মুসলিম পরিবারের বংশদ্ভুত। তাঁর মা, লতিফ ফাতিমা ছিলেন জাঞ্জুয়া রাজপুত পরিবারের মেজর জেনারেল শাহ নওয়াজ খানের কন্যা। শাহ নওয়াজ খান সুভাষ চন্দ্র বোসের অধীনে আজাদ হিন্দ ফৌজের অধিনায়ক ছিলেন। শাহরুখ খানের পিতা ভারত ভাগের আগে বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের কিসসা কহানী বাজার থেকে দিল্লীতে চলে আসেন। তার মায়ের বাড়ি ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। শাহরুখ খানের শেহনাজ নামে একজন বড় বোন রয়েছে।


শাহরুখের সোর্ড অব অনার অর্জন

শাহরুখ খান শৈশবে দিল্লীর সেইন্ট কলম্বাস স্কুলে পড়েছেন এবং এখানে তিনি ক্রীড়া, নাটক ও পড়াশোনায় কৃতিত্ব অর্জন করেন। এখানে তাকে সম্মানজনক ‘সোর্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। পরে তিনি হন্সরাজ কলেজ থেকে (১৯৮৫-১৯৮৮) অর্থনীতিতে সম্মান ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “মাস কম্যুনিকেশন” নিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন।



কমান্ডো অভিমন্যু রূপে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ

১৯৮৮ সালে ফৌজী টেলিভিশন সিরিয়ালে কমান্ডো অভিমন্যু রাই চরিত্রের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে সার্কাস সিরিয়ালে তিনি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেন, যেটি ছিল একজন সাধারন সার্কাস অভিনেতার জীবন নিয়ে রচিত। একই বছর তিনি অরুন্ধতী রায়ের In Which Annie Gives it Those Ones টেলি-চলচ্চিত্রে গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন।



দিল্লী ত্যাগ করে মুম্বাইতে শাহরুখ
শাহরুখ খান তার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য নতুন দিল্লী ত্যাগ করে মুম্বাইতে আসেন। ১৯৯১ সালে তিনি গৌরী (ছিব্বর) খানকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান, ছেলে আরিয়ান খান (জন্ম ১৯৯৭) ও মেয়ে সুহানা খান (জন্ম ২০০০)। ২০১২ সালে শাহরুখের তৃতীয় সন্তান আব্রাম জন্মগ্রহন করে।



টিভি সিরিয়াল থেকে চলচ্চিত্রের জগতে শাহরুখ খান

‘ফৌজী’ টিভি সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হেমা মালিনীর চোখে পড়েন। তিনি শাহরুখ খানকে তার অভিষেক ছবি ‘দিল আশনা হ্যায়তে’ অভিনয়ের সুযোগ দেন। দিওয়ানা (১৯৯২) ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রের জগতে যাত্রা শুরু করেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন দিব্যা ভারতী। ছবিটি ব্যবসা সফল হয় যার ফলে শাহরুখ খান বলিউডে আসন গাড়তে সক্ষম হন। আসলে তার প্রথম ছবি হওয়ার কথা ছিল দিল আশনা হ্যায় কিন্তু দিওয়ানা প্রথমে মুক্তি পায়। একই বছরে তিনি আরও কিছু ছবি যেমন চমৎকার, বিতর্কিত আর্ট ফিল্ম ‘মায়া মেমসাব’ এ অভিনয় করেন।

খল নায়কের চরিত্রে শাহরুখ খান



বাজিগর ও কাভি হাঁ আভি না ছবিতে শাহরুখ

১৯৯৩ সালে বাজিগর ও ডর ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল খ্যাতি পান। ডর ছবিতে শাহরুখ একজন অপ্রকৃতস্থ প্রেমিক এর ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি খুব সাফল্য লাভ করে এবং তিনি তারকা খ্যাতি পান। বাজিগর ছবির জন্য তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরষ্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ‘কাভি হাঁ আভি না’ ছবিতে একজন ব্যর্থ যুবক ও প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেন যার কারনে তিনি সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নির্বাচিত হন।




শাহরুখ পেলেন শ্রেষ্ঠ ভিলেন পুরষ্কার

১৯৯৪ সালে তিনি আঞ্জাম ছবিতে অভিনয় করেন যেটি ব্যবসাসফল হয়নি। তবে সাইকোপ্যাথ হিসেবে তার অভিনয় সমাদৃত হয় এবং তিনি ১৯৯৫ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ ভিলেন পুরষ্কার লাভ করেন।



ভারতের সর্বাধিকবার প্রচারিত শাহরুখের ছবি





ভারতের সর্বাধিকবার প্রচারিত শাহরুখের ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’

১৯৯৫ ছিল তার জন্য খুব সাফল্যের বছর। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙ্গে এবং এর সব কৃতিত্ব পান তিনি। ছবিটি ৫২০ সপ্তাহের বেশি প্রদর্শিত হয়। ভারতের সর্বাধিকবার প্রচারিত ছবি হিসেবে যাকে তুলনা করা যায় শোলের সাথে যা ২৬০ সপ্তাহ চলেছিল। ছবিটি বর্তমানে বারো বছর ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে এবং প্রায় ১২ বিলিয়ন রুপির চেয়েও বেশি অর্থ আয় করেছে।



যশ চোপড়া এবং করন জোহরের সাথে শাহরুখ খান

দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গের পর তিনি বেশ কটি ছবিতে সাফল্য পান, যার অধিকাংশই ছিল প্রেম-কাহিনী। যশ চোপড়া এবং করন জোহরের সাথে মিলে তিনি বলিউডে সফলতা পেতে থাকেন। এসব চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ পরদেশ, দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মোহাব্বতে (২০০০), কভি খুশি কভি গম (২০০১), কাল হো না হো (২০০৩) এবং বীর-জারা(২০০৪)। এছাড়া অন্যান্য পরিচালক যেমন, আজিজ মির্জার ইয়েস বস (১৯৯৭), মনসুর খানের জোশ (২০০০) এবং সঞ্জয় লীলা বনসালির দেবদাস (২০০২) ব্যবসা সফল হয়। আঞ্জাম (১৯৯৪), দিল সে (১৯৯৮), স্বদেশ (২০০৪) ও পহেলি (২০০৫) ছবির জন্য শাহ রুখ খান সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।



সপ্তম বারের মত ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা শাহরুখ খান



শাহরুখ খান সপ্তম বারের মত ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা

২০০৬ সালে করন জোহরের কভি আলবিদা না কেহনা (২০০৬) ছবিটি ভারতে মোটামুটি ব্যবসা করলেও বিদেশে ব্যবসা সফল হয়। একই বছরে ডন ছবিতে অভিনয় করেন যেটিও ব্যবসাসফল হয়েছিল। ২০০৭ সালে শাহরুখের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল চাক দে ইন্ডিয়া। বাণিজ্য সফল এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য শাহরুখ সপ্তমবারের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। তাঁর অন্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ওম শান্তি ওম ২০০৭ সালের সবচেয়ে বাণিজ্য সফল ছবি। ২০০৮ সালে শাহরুখের ‘রব নে বানা দি জোড়ি’ ছবিটি খুব ভাল ব্যবসা করে ।



অমিতাভ বচ্চন এর পরবর্তীস্থান এর শক্ত দাবিদার শাহরুখ খান

বর্তমানে সারা বিশ্বে বলিউডের জনপ্রিয়তম ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে শাহরুখ খান অন্যতম। তাঁর অভিনীত হে রাম,দেবদাস এবং পহেলি ভারত থেকে অস্কার এ পাঠানো হয়েছিল। শাহরুখ-কাজল জুটি বলিউডের অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে স্বীকৃত। কাজলের সাথে তাঁর অভিনীত বাজীগর, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে, করণ অর্জুন, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, কভি খুশি কভি গম। এই ৫টি ছবিই ব্যবসা-সফল হয়। ১৫ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয়দের কাতারে অমিতাভ বচ্চন-এর পরবর্তীস্থান এর শক্ত দাবিদার।



প্রযোজক শাহরুখ খান

শাহরুখ খান বিভিন্ন ছবি প্রযোজনাতেও হাত দিয়েছেন। তবে এখানে তার সাফল্য মিশ্র প্রকৃতির। ১৯৯৯ সালে তিনি পরিচালক আজিজ মির্জা ও অভিনেত্রী জুহি চাওলার সাথে তিনি ড্রিমজ আনলিমিটেড নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুটি ছবি ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি (২০০০) এবং অশোকা (২০০১) ব্যবসাসফল হয়নি। তার প্রযোজিত তৃতীয় ছবি ‘চলতে চলতে’ (২০০৩) ব্যবসাসফল হয়।



শাহরুখের রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট



শাহরুখের রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট

২০০৪ সালে শাহরুখ খান ‘রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন  এবং এখান থেকে ‘ম্যায় হুঁ না’ (২০০৪) চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন যা বলিউডে দারুন ব্যবসা করে। ২০০৫ সালে তিনি কল্পকাহিনী নিয়ে ‘পহেলি’ চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন যা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারত থেকে মনোনয়ন পায়, তবে পুরষ্কার জিততে পারেনি। ভারতের চলচ্চিত্র জগতে ‘পহেলি’ তেমন সফলতা পায়নি। একই বছর তিনি ‘কাল’ নামে একটি চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন। এ ছবিতে তিনি অভিনয় না করলেও একটি গানের দৃশ্যে মালাইকা অরোরা খানের সাথে অভিনয় করেন। কাল মোটামুটি সফলতা পায়। রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট থেকে নির্মিত পরের ছবি ‘ওম শান্তি ওম’ ২০০৭ সালের সব থেকে সফল ছবি। এইছবিতে ৩০ জনের বেশি নামী অভিনেতা একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন।



উপস্থাপক শাহরুখ খান

জনপ্রিয় ব্রিটিশ গেম শো ‘হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নিয়ার?’ এর হিন্দি সংস্করণ ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ এ শাহরুখ খান সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি সাবেক উপস্থাপক অমিতাভ বচ্চনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন যিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ভারতের টেলিভিশনের ইতিহাসে এটি অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি সোমবার শাহরুখ খান কেবিসি এর তৃতীয় মৌশুম শুরু করেন। এই মৌশুম শেষ হয় ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিলে। ২৫ এপ্রিল ২০০৮ থেকে শাহরুখ ‘আর ইউ স্মার্টার দ্যান আ ফিফথ গ্রেডার?’ এর হিন্দি সংস্করণ ‘ক্যা আপ পাঁচবি পাস সে তেজ হ্যায়?’ এর সঞ্চালকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।



‘দ্য ইনার এন্ড আউটার ওয়ার্ল্ড অব শাহরুখ খান’

যুক্তরাজ্যের চলচ্চিত্র প্রযোজক নাসরিন মুন্নি কবির শাহরুখ খানের জীবন অবলম্বনে দুই খন্ডের ডকুমেন্টারি তৈরী করেছেন, দ্য ইনার এন্ড আউটার ওয়ার্ল্ড অব শাহরুখ খান (২০০৫) নামে। এতে শাহরুখ খানের ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত টেম্পটেশন কনসার্ট ট্যুরের বিভিন্ন সময়ে নেয়া সাক্ষাৎকার চিত্রিত হয়েছে। সম্প্রতি আরেকটি আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে “স্টিল রিডিং খান” (২০০৬) নামে যাতে শাহরুখ তার পরিবার ও জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।



মাদাম তুসোর মোম জাদুঘরে শাহরুখ খানের মূর্তি

শাহরুখ খানকে ফরাসি সরকার চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ “Ordre des Arts et des Lettres” (অর্ডার অফ দ্য আর্টস এন্ড লিটারেচার) সম্মাননায় ভুষিত করেছে। লন্ডনে মাদাম তুসোর মোম জাদুঘরে তার মুর্তি রয়েছে।



ক্রিকেটে শাহরুখ খান

শাহরুখ খান, তাঁর রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট এর মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ’ এর দল ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স’ এর অন্যতম মালিক। তিনি এবং তাঁর বন্ধু ও সহ-অভিনেত্রী জুহি চাওলার স্বামী জয় মেহতা এই দলটিকে কিনে নেন। প্রসংগত উল্লেখ্য যে শাহরুখ, কলকাতা ছাড়াও দিল্লী, মুম্বাই, চন্ডীগড় এবং জয়পুরের জন্য দরপত্র দিয়েছিলেন।



অজানা কিছু তথ্য:

ছবি দেখার লোভে হিন্দি শেখা
স্কুলে অন্যান্য বিষয়ে ভালো করলেও হিন্দিতে খুবই দুর্বল ছিলেন শাহরুখ। এমনকি এ বিষয়ে অকৃতকার্যও হয়েছিলেন। ছেলেবেলা থেকেই চলচ্চিত্র দেখতে দারুণ পছন্দ করতেন তিনি। বিষয়টি খুব ভালো করেই জানা ছিল তাঁর মা লতিফ ফাতিমার। তিনি শাহরুখকে কথা দিলেন, তিনি যদি হিন্দি পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেন, তবে তাঁকে ছবি দেখাতে নিয়ে যাবেন। ছবি দেখার লোভে হিন্দি নিয়ে উঠেপড়ে লেগে গেলেন শাহরুখ। সেই থেকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বরও পেতে শুরু করলেন তিনি।



প্রথম উপার্জন মাত্র ৫০ রুপি
দিল্লিতে প্রখ্যাত গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাসের একটি কনসার্টে গাইড হিসেবে কাজ করে জীবনের প্রথম উপার্জন করেছিলেন শাহরুখ। আজ কোটি কোটি রুপির মালিক হলেও তাঁর জীবনের প্রথম আয় ছিল মাত্র ৫০ রুপি। ওই ৫০ রুপি দিয়ে তিনি ট্রেনের টিকিট কেটে আগ্রায় গিয়েছিলেন তাজমহল দর্শনে।

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী
অভিনয় জগতে পা রাখার আগে পুরোনো দিল্লির দরিয়াগঞ্জ এলাকায় অল্প কিছুদিনের জন্য রেস্তোরাঁর ব্যবসা খুলেছিলেন শাহরুখ খান।

পারিশ্রমিক ২৫ হাজার রুপি মাত্র
১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কাভি হা কাভি না’ ছবিতে অভিনয়ের পারিশ্রমিক হিসেবে মাত্র ২৫ হাজার রুপি পেয়েছিলেন শাহরুখ খান। কুন্দন শাহ পরিচালিত চলচ্চিত্রটি মুক্তির প্রথম দিনে মুম্বাইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহের কাউন্টারে বসে টিকিট বিক্রি করেছিলেন শাহরুখ।



ঘোড়াভীতি
ঘোড়ার পিঠে চেপে ঘুরে বেড়াতে আজও রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন ‘বাজিগর’ তারকা শাহরুখ খান।

মুম্বাইয়ে আশ্রয়হীন
অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে মুম্বাই এসেছিলেন শাহরুখ। কিন্তু শুরুর দিকে সেখানে থাকার কোনো জায়গা ছিল না তাঁর। ওই সময় বলিউডের অভিনেতা বিবেক ভাসানীর সঙ্গে থাকতেন তিনি। তখন ছবির নির্মাতা এবং প্রযোজকদের সঙ্গে শাহরুখের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিতেন বিবেক। পরবর্তী সময়ে শাহরুখের সঙ্গে ‘রাজু বন গ্যায়া জেন্টেলম্যান’ এবং ‘যশ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিবেক।



শোবার আগে ইস্তিরি করা পায়জামা
এখনো প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শাহরুখ নিশ্চিত হয়ে নেন যে তাঁর পরনের পায়জামাটি ইস্তিরি করা আছে কি না। তাঁর এমন অদ্ভুত খেয়ালের পেছনের কারণটি আরও বেশি অদ্ভুত। স্বপ্নে কার সঙ্গে দেখা না হয়—এটা ভেবেই নাকি ফিটফাট হয়ে ঘুমোতে যান শাহরুখ।

প্রাচীনপ্রিয়
শাহরুখের প্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তালিকায় এ প্রজন্মের কোনো তারকার নাম নেই। তাঁর সবচেয়ে পছন্দের অভিনেতা হলেন দিলীপ কুমার। আর পছন্দের অভিনেত্রীদের তালিকায় আছেন মুমতাজ ও সায়রা বানু।


Share on Google Plus

About muktocinta

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পাইকারি জামা কাপর কিনতে পারেন

100% Export Quality