ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন:
নিজের ভালো নাম অহনা রহমান হলেও এই মডেল অভিনেত্রীকে পরিচিত এবং কাছের মানুষেরা ডাকেন ‘লাকি’ নামে। অবশ্য স্কুলজীবনে অহনাকে তাঁর কাছের বন্ধুরা যে উপাধি দিয়েছিলেন, সেটি বেশ মজার। অনেক লম্বা হওয়ার কারণে তখন বন্ধুরা অহনাকে ডাকতেন ‘জিরাফ’ বলে। মা-বাবার একমাত্র সন্তান অহনা মানুষ হিসেবে খুব মিশুক। তার স্বামীর নাম রাহিদ মান্নান লেলিন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। অহনা ব্যবস্থাপনায় স্নাতক পাস করেছেন। ভালোবাসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের পটুয়াখালী। তবে জন্ম থেকেই তিনি রাজধানীর বুকেই বেড়ে উঠেছেন। ২০১১ সালের শেষদিকে রাহিদ মান্নান লেলিন নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে অহনার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু মাত্র এক বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
জীবনের লক্ষ্য ও কাজ:
ছোটবেলা থেকে দুটো লক্ষ্য সামনে নিয়ে বড় হয়েছেন অহনা—পাইলট হবেন, নয় অভিনয়শিল্পী। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় লক্ষ্যতেই নিজের ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন তিনি। আজ সবাই যাঁকে অভিনয়শিল্পী হিসেবে চেনেন, সেই অহনা স্কুলে পড়ার সময়ে বেশ কয়েকটি নাটক লিখেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, এ সময় নিজের লেখা নাটকের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। অনেকেই হয়তো জানেন না যে একজন সফল অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি অহনা একজন সফল ঘটকও। অহনার ঘটকালিতে এর মধ্যেই তাঁর ছয়জন বন্ধুবান্ধবীর বিয়ে হয়েছে। অহনার মডেলিংয়ের মাধ্যমে মিডিয়ায় পথচলা। এক্ষেত্রে তার মা তাকে বেশি অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। কলেজ জীবনে বিনোদন বিচিত্রার ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় তিনি অংশগ্রহণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় তিনি শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছিলেন। এরপর থেকেই মিডিয়ার প্রতি তার আগ্রহ বেড়ে যায়। অহনার প্রথম বিজ্ঞাপন ছিল কসমস বিস্কুটের। 'ছেড়াপাতা' নামের একটি নাটকের মাধ্যমে টিভিনাটকে অহনার অভিষেক ঘটে। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন রেজানুর রহমান। এ পর্যন্ত অহনা শতাধিক টেলিছবি, ধারাবাহিক ও খ-নাটকে অভিনয় করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, 'হার্টে ডু ডু', 'সাগাই', 'খড়ম', 'সুন্দর আলী', 'একদিন স্বপ্ন রঙিন', 'বিবর্তন', 'দক্ষিণা পবন', 'সুন্দর আলী', 'আমরিকা টু আশুলিয়া', 'আর বানাবো না নাটক', 'অবশেষে নাটক শেষ হলো' এবং 'অপেক্ষা' ইত্যাদি।
.jpg)

0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন